এন্ট্রি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রেইলার চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম | প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
এন্ট্রি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রেইলার চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন এন্ট্রি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন অপারেটররা যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বন্দর এলাকায় সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় কনটেইনার ওঠানো–নামানো কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন ফি কার্যকর হয়েছে। আগে প্রতি ভারী যানবাহনের প্রবেশ ফি ছিল ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা, যা প্রায় চার গুণ বাড়িয়ে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে মোট ফি দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা। এই হঠাৎ বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সভার পর পরিবহন সংগঠনগুলো শনিবার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচল ‘অস্থায়ীভাবে স্থগিত’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহন সমিতি, চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং প্রাইম মুভার অ্যান্ড ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই বন্দর কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে নতুন ফি আরোপ করেছে। আমরা বন্দরের প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্গো পরিবহন করি। এমন সিদ্ধান্তের আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।”

শনিবার দুপুরে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে প্রাইম মুভার মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। তাঁরা মাইক হাতে বন্দরমুখী যানবাহনগুলোকে ঢুকতে নিষেধ করেন। মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “এটি কোনো ধর্মঘট নয়। পোর্ট কর্তৃপক্ষ হঠাৎ প্রতিটি গাড়ির ওপর ১৭৩ টাকা বাড়তি ফি বসিয়েছে, কিন্তু বলেনি অতিরিক্ত খরচ দেবে কে—মালিক না শ্রমিক।”  

প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খান মোহাম্মদ সেলিম জানান, শ্রমিকদের একটি অংশ গাড়ি চালাতে রাজি থাকলেও মালিকপক্ষ রাজি নয়। ফলে ১৪ অক্টোবর রাত থেকে ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

অচলাবস্থায় আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “ডিপো থেকে কনটেইনার পরিবহন বন্ধ থাকায় রপ্তানি পণ্য বন্দরে নেওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত আলোচনা করে সমাধান না হলে বড় ধরনের বাণিজ্যিক ক্ষতি হবে।”

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, “বন্দর কার্যক্রম চালু আছে, তবে কিছু প্রভাব পড়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে