অনেক জল্পনা-কল্পনার পর দীর্ঘ ৩৫ পর অনুষ্ঠিত হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচ বিজয় অর্জন করেছে ছাত্রশিবির। ২৩টি পদের মধ্যে ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদেই জয়লাভ করেছেন তারা। বাকি তিনটি পদে একজন ছাত্রদল প্যানেলের, একজন সাবেক সমন্বয়ক ও স্বতন্ত্র একজন জয়লাভ করেছে। নর্বনির্বাচিত ভিপি, জিএস, এজিএসসহ সব বিজয়ীদের বসার কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজ শনিবারের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৩৫ বছর রাকসুর নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৫টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন রাকসু ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়াও এই ভবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি’র অফিসও ছিল। তারা যে কক্ষটি ব্যবহার করছিল, সেটিই রাকসুর সহসভাপতির (ভিপি) কক্ষ। রাকসু ভবন সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন। তিনি বলেন, রাকসু ভবনে থাকা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্কুলের টিনশেড ভবনে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই ভবনটিতে রং করা ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামীকালকের (শনিবার) মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামিকাল রোববার থেকে নবনির্বাচিতরা তাদের কক্ষ গুলোতে বসতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়লাভ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির, জিএস নির্বাচিত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। এবারের নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী ও হল সংসদ নির্বাচনে ১৫টি পদে মোট ১৭টি হলে ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ছিল ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৮৭ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রাথীকে ভোট প্রয়োগ করেন।