গাজীপুরের টঙ্গী টিএন্ডটি এলাকায় জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বাদলের মালিকানাধীন জাভান আবাসিক হোটেল এন্ড বার-এ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গোয়েন্দা শাখা ডিবি দক্ষিণ বিভাগের আট সদস্যের একটি দল রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই হোটেলে অভিযান চালায়। তবে অভিযানকালে কাউকে গ্রেপ্তার বা কোনো মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারি গাজীপুর ডিবি পুলিশের এসআই মো. হারিসুর রহমান। তবে অভিযান চলাকালে ফেসবুক লাইভ দিতে গিয়ে আল আমিন নামে এক সাংবাদিক হোটেলকর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার হন। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে জাভান হোটেলটিতে অসামাজিক কার্যকলাপ ছিল ওপেন-সিক্রেট। ইতিপূর্বে ওই হোটেলটিতে অসামাজিক কার্যকলাপ ও অবৈধভাবে মদের বার পরিচালনার অভিযোগে পুলিশ, র্র্যাব ও সেনাবাহিনী বেশ কয়েকবার পৃথক পৃথক অভিযান চালায়। তৎকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ৫ আগষ্টের পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বাদলও লাপাত্তা হন। পরে সায়মন খান নামে এক ব্যবসায়ী জাভান হোটেলটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছেন। এব্যাপারে টঙ্গী জাভান হোটেল এন্ড বার-এর পরিচালক মো. সায়মন খান বলেন, আমি এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিচালক। শেখ বাদল এ হোটেলের পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত নন। আমি বৈধভাবে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি। আওয়ামী লীগের আমলে জাভান হোটেলে কি অপকর্ম হয়েছে তা আমি জানি না। তবে একটি মহল শেখ বাদলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কিছুদিন যাবত হোটেলটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে চাচ্ছেন। এতে আমি আপত্তি জানালে ওই মহলটি আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। সাংবাদিক হেনস্থার বিষয়ে সায়মন খান বলেন, ওই সাংবাদিক কোনো পরিচয় না দিয়ে ফেসবুক লাইভ শুরু করলে হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে লাইভ করতে বারণ করেন। এছাড়াও লাইভে থাকা অবস্থায় ওই সাংবাদিকের হাতে কোনো ক্যামেরা বা সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার বুম ছিল না। তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে অভিযানকালে ফেসবুক লাইভে থাকা (কালেরকণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার) সাংবাদিক মো. আল-আমিন বলেন, জাভান হোটেলে ডিবির অভিযান চলাকালে লাইভ করার সময় হোটেলের লোকজন বাধা প্রদান করে এবং আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে হেনস্থা করে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দক্ষিণ)উপ-পরিদর্শক মো. হারিসুর রহমান বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে জাভান হোটেলে শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।তদন্ত ও তল্লাশির পর মাদক বা অসামাজিক কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ মেলেনি বলেও জানান তিনি।