চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৬১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ১ জনের।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৬ জন, চট্টগ্রামে ১০৪ জন, ঢাকার বাইরে বিভাগীয় এলাকায় ৪৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৭ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৭৬ জন, খুলনায় ৪৩ জন, ময়মনসিংহে ৩৩ জন, রাজশাহীতে ৭৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন রোগী রয়েছেন।
গত এক দিনে সারাদেশে ১ হাজার ১২৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এতে করে এ বছর ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৯৬৩ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫৮ হাজার ৮৯৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৪৪ জনের।
অক্টোবরে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৫৫৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৬৯২ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ৯৭৭ জন, আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৭১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাসভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, জুলাইতে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
একই সময়ে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে’তে ৩ জন, জুনে ১৯ জন, জুলাইতে ৪১ জন, আগস্টে ৩৯ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমের পরিবর্তন এবং দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের কারণে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি এখনো কমেনি। তাই আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা জরুরি।