পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রাইমারি বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত ছুটির অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী শ্যামাপূজার জন্য সোমবার ২০ অক্টোবর ২০২৫ ছুটি ঘোষণা করা আছে। ১৯ অক্টোবর সংরক্ষতি ছুটি নেয়ার ফলে ওই বিদ্যালয় গুলোতে একটানা ৪দিন শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য কাউখালী উপজেলায় সাপ্তাহিক ছুটির পর রবিবার বিদ্যালয়ে খোলার কথা থাকলেও উপজেলার ১৪/১৫টি বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত ছুটি দেওয়া হয়েছে, ফলে একটানা চারদিন ছুটি হবার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সকল ১ম থেকে ৫ম শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একটানা চারদিন বন্ধ থাকার ফলে বৃত্তি পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষায় এর প্রভাব পড়বে বলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ মনে করেন। তাছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতা দূর করার জন্য বেজলাইন সার্ভে পরবর্তী সহায়তা মূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৪দিন একটানা বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে এ কার্যক্রমও ব্যর্থ হবে বলে অনেকে মনে করেন।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট কর্ম দিবস বাড়ানোর জন্য তারা চিন্তা করছেন। অথচ বড় বন্ধের সাথে সংরক্ষিত ছুটি নিয়ে বিদ্যালয়ের কর্ম দিবস আরো কমানো হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ে উদ্বুদ্ধ কোন জরুরী পরিস্থিতি বা ঘটনার কারণে সংরক্ষিত ছুটি নেয়ার বিধান থাকলেও সাধারণত শিক্ষকদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই এটি নেয়া হয়ে থাকে। অতিরিক্ত বন্ধের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। যা বিভিন্ন সমীক্ষায় ওঠে এসেছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকরা জানান, অতিরিক্ত বন্ধের কারণে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে এই কারণে অনেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসা কিংবা কিন্টার গার্ডেনে ভর্তি করছে।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে বছরে তিন দিন সংরক্ষিত ছুটি আছে। প্রধান শিক্ষকরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী বিদ্যালয় বন্ধ রাখে।