নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের শিশইল গ্রামের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের একটি মামলায় গ্রাম আদালতের ডিক্রি বা আদেশ ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মামলার বিবাদীদের যথাযথভাবে নোটিশ না দিয়েই বাদীর পক্ষে একতরফা আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের রায় ঘোষণা করায় গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিবাদী পক্ষ।
জানা গেছে, শিশইল গ্রামের অবিরন বিবি ও ওসমান সরদার গত ৬ এপ্রিল পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে শিশইল গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও মোজাহার হোসেন এবং পাশ্ববর্তী ফেটগ্রামের নিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গ্রাম আদালতের ৫৩/২০২৫ নম্বর হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মামুনুর রশিদ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য জয়নুর বেগমকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তবে মামলার বিবাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাউকে কোনো হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মনগড়াভাবে বাদী পক্ষের পক্ষে একটি আদেশনামা দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে ওয়ার্ড সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, ‘মামলাটির বিষয়ে শুধু কাগজে কলমে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আদলতের কোনো শুনানিতে আমি অংশ নিইনি। সালিস বৈঠক হয়েছে কিনা তাও জানা নেই।’ একই ধরনের মন্তব্য করেন নারী সদস্য জয়নুর বেগমও।
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ডিক্রি বা আদেশ দেওয়া হয়নি। শিরোনামে ভুলবশত এ ধরনের শব্দ লেখা হয়েছে। গ্রাম আদালতের একতরফা রায় দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় বাদী পক্ষকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।