বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে নবম দিনের মতো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে তারা সেখানে অনশন ও সমাবেশ শুরু করেন। বাড়িভাড়া মাত্র ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি আদেশ প্রত্যাখ্যান করে তারা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে ‘ভুখা মিছিল’ নিয়ে এগোতে গেলে পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে আন্দোলনরত সংগঠন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে আমরণ অনশন ও সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১০টায় শিক্ষক সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “সরকারের ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন শিক্ষকদের সঙ্গে অবিচার। আমরা তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ব না।”
শিক্ষকদের এ আন্দোলনে বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদ ও এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংহতি জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর আজিজী জানান, “মহাসচিব আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং ২২ অক্টোবর শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে উপস্থিত থাকবেন।”
আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের তিন দফার মধ্যে রয়েছে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ। ১২ অক্টোবর থেকে তারা এসব দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। রোববার (১৯ অক্টোবর) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে অফিস ত্যাগের আগে রুমের বৈদ্যুতিক সংযোগ, ফ্যান, লাইট ও এসির প্লাগ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ও চট্টগ্রামে একাধিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শিক্ষক আন্দোলন চলাকালে মাউশির এই নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।