জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নগরীর আলোকার মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। এ সময় রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাকিন রায়হান রবিন, নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজের আহবায়ক অন্তর, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নাত, রাজশাহী সিটি কলেজের যুগ্ন আহবায়ন মাহি, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের ছাত্রনেতা জুবায়ের সাহিল, পলিটেকনিক ছাত্রনেতা সবুজ, রিফাত, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তর সম্পাদক সাকিন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ, বোয়ালিয়া ও ২৭ নং ওয়ার্ড উত্তর এবং দক্ষিণের সভাপতি হিমেল ও তন্ময় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি, ছাত্রদলের একের পর এক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হচ্ছে। সবশেষ জুবায়েদকে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার না করলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এদিকে জোবায়েদ হত্যায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার রাতে বংশাল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এই আহ্বান জানান। আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করলে বংশাল থানা ঘেরাও করা হবে বেলেও হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। জুবায়েদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বর্ষা নামে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে বর্ষাকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) শিক্ষার্থী বর্ষার টিউটর ছিলেন জুবায়েদ। তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন তিনি। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি বাসা থেকে জুবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়েদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।