মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বাড়ির সামনের ডোবা থেকে লক্ষ্ণী রাজবংশী (৯৫) নামের এক প্যারালাইজড হওয়া বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ১১ টার দিকে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বটতলা এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে বাড়ির সামনের ডোবার পানিতে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনা স্থলে ফোর্স পাঠাই।
মৃতের ছেলে ঝন্টু রাজবংশী জানান, রোববার রাত একটার দিকে মায়ের ঘরে গিয়ে তাকে না পেয়ে সারারাত খোঁজাখুঁজি করেছি, কিন্তু কোথাও পাইনি। সকালে দেখি বাড়ির সামনের ডুবায় মায়ের মরদেহ দেখতে পাই।
এলাকার বাসিন্দা লিমন কাজী বলেন, লক্ষ্ণী রাজবংশী প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিলেন। তিনি নিজে হাঁটতে পারতেন না। তাই কিভাবে ডোবার কাছে গেলেন তা রহস্যজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চাই।
প্রতিবেশী রানী রাজবংশী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন, হাঁটার সক্ষমতা ছিল না। তাই ডোবার কাছে গিয়ে পড়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব দাস বলেন, লক্ষ্ণী রাজবংশীর তিন ছেলের কেউই তার ভরণ-পোষণ করত না। বড় মেয়ে তাকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে রেখে দেখাশোনা করত। কয়েকদিন আগে বড় ছেলে রঞ্জিত মাকে নিয়ে আসে, এরপরই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতের বড় মেয়ে কামনা রাজবংশী জানান, আমার মা দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছিল। ভাইদের কেউ মায়ের দেখাশোনা করত না বলে আমি মাকে রেখেছিলাম। কিন্তু আট দিন আগে বড় ভাই রঞ্জিত এসে মাকে নিয়ে যায়। এখন তার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়াই কাল হলো।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। মরদেহের নমুনা দেখে ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি গুলা মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত হাতে পেলে হত্যা নাকি অপমৃত্যু তা বুঝা যাবে।