সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ হলেও দুই বছরেও শেষ হয়নি সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ। ফলে ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্রিজটির অবস্থান বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের কোলাদধোয়া খালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মিত ব্রিজটি রাস্তা থেকে প্রায় ১০ ফুট উঁচুতে। দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় যানবাহন ও পথচারীরা ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না। সূত্রমতে, ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। টেন্ডারের মাধ্যমে ব্রিজ নির্মানের কাজটি পায় মুলাদী উপজেলার মেসার্স পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে এবং সাত মাস আগে ব্রিজের ঢালাই শেষ করে। কিন্তু দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ না করেই ব্রিজটি ফেলে রাখে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রিজ নির্মাণের পর দুইপাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ না করায় নির্মিত ব্রিজটি তাদের কোন কাজেই আসছেনা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, বিগত দুই বছর আগে ব্রিজ নির্মান করা হলেও আমরা একদিনের জন্যও ওই ব্রিজ দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েও কোন সুফল মেলেনি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. বাদল হোসেন জানিয়েছেন-কাজটি আমার প্রতিষ্ঠানের নামে হলেও আমি কাজ করতে পারিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা আমার কাছ থেকে জোর করে কাজটি নিয়েছে। পরে তারাও কাজ করতে পারেনি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমার কাছ থেকে কাজটি নিয়ে সম্পন্ন করেছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজের দুইপাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সার্বিক বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিক বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মিত ব্রিজের দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।