কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের কাণ্ডে হতবিহ্বল পরিবার। গর্ভজাত চল্লিশ দিনের শিশুকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাট্টা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিশু নূর হাসান তোহা কৃষক নূর মোহাম্মদের একমাত্র ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জন্মের পর থেকে অন্য সুস্থ্য স্বাভাবিক নারীদের মতই সদ্য প্রসূত নূর হাসান তোহার লালন পালন করে আসছিলেন তার মা তাহমিনা। কিন্তু হঠাৎ কি কারণে তার সন্তানকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ফেলে সন্তানকে। ঘটনার পর নির্বিকার হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন। কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন জানা যায় নি। দুপুরে তার স্বামী নূর মোহাম্মদ বাড়ি এসে দেখতে পান স্ত্রী তাহমিনা মাটিতে শুয়ে আছে ৷ সন্তান তোহা কোথায় জানতে চাইলে বালতি দেখিয়ে দেন৷ সেখানে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়৷ এসময় শিশুর মা তাহমিনা অসংলগ্ন আবোল তাবোল কথাবার্তা বলতে বলতে অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তাহমিতা প্রায়ই অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এজন্য অনেকবার কবিরাজি চিকিৎসা করানো হয়েছিলো। এ ঘটনা সে নিজেই ঘটিয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তফা বলেন, শিশুর মা তাহমিনাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হলো৷ দুপুরে শিশুর পিতা বালতির ভিতর থেকে তার সন্তানের মরদেহ পায়। ঘটনার পর তাহমিনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বর্তমানে তাকে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুর মা অসুস্থ থাকায় পরিবারের জিম্মায় চিকিৎসা চলছে৷ এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলমান আছে৷ মামলা হলে তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷