চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভায় সহপাঠীদের হামলায় মো.তানবির (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পৌরসভার আলীপুর এলাকার ধোপার দিঘীর পাড়স্থ পুরাতন পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানবির পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ার সুলতান আহম্মদ বাড়ির প্রবাসী আবদুল বারেক এর পুত্র। সে হাটহাজারী পৌরসভার আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ঘটনারদিন টিফিন ছুটির সময় দুপুর দেড়টার দিকে উল্লেখিত স্থানে ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র তানবির সহপাঠীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। চমেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা বেশ কযেকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,বহিরাগত কয়েকজন কিশোর স্কুলের ছাত্রদের ওপর হামলা চালালে ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানবির গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আশেপাশে লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহত মোঃ তানবির এরা দুই ভাই দুই বোন। তানবিরের মা রেহেনা বেগম সন্তানের মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসার পর মা এবং স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
তবে আলীপুর স্কুল এন্ড কলেজ প্রধান মো.সাইফুর রহমান বাবর গণমাধ্যমকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনাকে তিনি দুঃখ জনক ও অনাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ.মনজুর কাদের ভুঁইয়া হত্যাকান্ডের সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
হাটহাজারী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মোঃ তারেক আজিজ মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে থানায় আনা হয়েছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম আপাতত বলা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রাতে চৌধুরীহাট এলাকায় একটি ফুলের দোকানের সামনে সুদীপ্ত মহাজন (২৩) নামের এক যুবকের নেতৃত্বে অজ্ঞাত নামা ৬/৭জনের হামলায় দুই ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছিলো। এই ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতা অপি দাশের পিতা মিন্টু দাশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।