পূর্ব সুন্দরবনের দুবলারচরে পরিবেশ দূষন প্রতিরোধে বনরক্ষীরা বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণে অভিযান শুরু করেছে। বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে গত তিনদিনে কয়েক মণ প্লাষ্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত রয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের জেলে পল্লী দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি রেঞ্জার সুব্রত কুমার দাস ও আলোরকোল ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার তানভীর হাসান ইমরানের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার দুবলার আলোরকোল, অফিসকেল্লা, মেহেরআলী, কচিখালী ও শেলারচরে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণ করে। ভেসে আসা এসব প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জ্যে সুন্দরবনের পরিবেশ দূষিত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
ডেপুটি রেঞ্জার সুব্রত কুমার দাস বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের প্লাষ্টিক,পলিথিনসহ দ্রব্য জোয়ারে ভেসে এসে চরে আটকে যায়। ফলে সুন্দরবনের পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশংকা ছিল। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে গত তিন দিনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে সাগর তীরের চর সমূহ থেকে বনরক্ষীরা নিরলস পরিশ্রম করে কয়েক মণ প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণ করেছে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বনরক্ষীরা সুন্দরবনের দুবলারচর, শেলারচর, কচিখালী সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন চরে ভেসে আসা আটকে থাকা প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণ করেছেন। এ সব বর্জ্য ধংস করার জন্য ডাম্পিং ষ্টেশনে পাঠানো হবে। সুন্দরবনের নদী.খাল ও সাগর তীরে বর্জ্য অপসারণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।