জিয়া পরিবারের সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন বিএনপি কখনো দাবী করেনা একা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে বা একাই আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতারিত করেছে। দেশের ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে কঠোর আন্দোলন করে হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলাম বলে বেড়ায় তারা একাই আন্দোলন করে হাসিনাকে বিদায় করেছে। তিনি বলেন, দলটি বিএনপি’র সাথেই ছিলো। ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঐ দল মাঠের আন্দোলনে ছিলো। এরপর সুবিধা নেয়া শুরু করে। জ্ঞান পাপি আব্দুল বারাকাত ২০১১ সালে একটি জরিপ করে দিয়েছিলেন যে জামায়াতে ইসলামীর বার্ষিক আয় বাইশ হাজার কোটি টাকা হয়েছিলো। সেটা দেখে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নজর পরে জামায়াতের ব্যাংক, বিমাসহ আর্থিক সকল প্রতিষ্ঠানের দিকে। সে থেকেই জামায়াত আওয়ালীগের সাথে আঁতাত করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। এখনো সেভাবেই চলছে। জামায়াত চাঁদা আদায় করে আর বিএনপিকে বলে চাঁদাবাজ। তিনি জামায়াতকে একটু ধর্য্য ধরার কথা বলেন। পিআর পদ্ধতি কি জনগণকে বোঝানোর জন্য জামায়াতকে অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন দাঁড়িপাল্লায় ভোট চাওয়া কোন দোষের নয়। কারন তারা ভোট চাইতেই পারে। নির্বাচনে তারা অংশগ্রহন করবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে সকল দল অংশগ্রহন করবে এটাই বিএনপি’র চাওয়া। আর জনগণ যাকে ভোট দেবে সে দলই রাষ্ট্র দেখভাল করবে এবং সরকার পচিালনা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র কোন দলকে রাজনীতি করতে বাধা দেয়না। কিন্তু রাজনীতি করার জন্য ধর্মকে পুঁজি না করতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কখনো শোনা যায়নি জামায়াতের অমুসলিম শাখা ছিলো। কিন্তু এখন আছে। যারা মুসলিম নয় তারা কিভাবে জামায়াত করে বলে প্রশ্ন করেন। দিনের কাজ হচ্ছে আল্লাহর হুকুম পালন করা। সেইসাথে নবীর(সা.) সুন্নত ও আদেশ ও নিষেধ মান্য করে চলা। ফরজ আদায় করা ও প্রতিবেশীর হোক আদায় করা। যত আমল করবে তত ইমাম পোক্ত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জামায়াত শিখিয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পুলিশ আসলে বলবে আমি জামায়াত করি। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ভাইরাল হয়ে আছে বলে জানান তিনি। মিলন বলেন, আওয়ামীলীগকে টিকিট ধরিয়ে দিচ্ছে জামায়াত। তিনি জামায়াতকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আর আওয়ামীগের মত বাকশালী রাজনীতি আর হবেনা। টাকা দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ। জনগণের নিকট নেতাদের যেতে হবে। এতদিন আওয়ামীলীগের কোন ভোটের দরকার ছিলোনা। একজন ভোটারই সর্বদা ভোট দিয়ে এমপি, চেয়ারম্যান ও মেয়র ও মেম্বর তৈরী করতেন। তিনি আরো বলেন, জামায়াত হালুয়া রুটির ভাগাভাগিতে জড়িতদের প্রার্থী দিয়েছে। এত বিএনপি’র কিছু যায় আসেনা। তিনি মনে করেন জামায়াত তাদের মতে যোগ্য লোককে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করে বলেন আপনারা ফুলসিরাত এর মাঠে যেতে পারলেন না, বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড়ালেন না, আপনারা জনগণকে জান্নাতের টিকিট দিয়ে দিচ্ছেন। এসব ভন্ডামি ছাড়ার কথা বলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে জামায়াত মোনাফের খাতায় নাম লিখিয়েছিলো, তা আবার ১৯৯৬ সালে আযাযা বাহিনী সৃষ্টি করে রিনিউ করে। কিন্তু এবার আর সেটা হেত দেয়া হবেনা। নিজে দোযখে যাবেননা বেহেস্তে যাবেন তার গ্যারান্টি আপনি দিতে পারছেননা। আর আপনি জনগণকে বেহেস্তে নিয়ে যাবেন। এই সকল মোনাফেক দল থেকে এবং তাদের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেন তিনি। সেইসাথে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়ে জানান মিলন। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত আটটায় পবার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির হরিয়ান মৃধাপাড়া আয়োজনে উঠান বৈঠক ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন মাসকাটাদিঘী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আফতার হাসান রুনু। উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হামিদ মিয়া, মুন্না ভাই ও খালেক মৃধা শাকিলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।