উপজেলা পরিষদ দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে সুনামগঞ্জে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে গণমিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয় (উকিলপাড়া) থেকে সদস্য সচিব ও সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমূল হুদা হিমেলের নেতৃত্বে গণমিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট, কালিবাড়ি ও বকপয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে গিয়ে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নজির হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে এবং এমদাদুল হক দিলরব ও হুমায়ূন রশিদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ভিপি সাইফুর রহমান সমছু।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নাজমূল হুদা হিমেল। তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৪ সালে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন, যাতে তৃণমূল জনগণ স্থানীয় পর্যায়ে সেবা পেতে পারে এবং নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকারগুলো এই উপজেলা পদ্ধতিকে উপেক্ষা করেছে। এখন যারা পুনরায় সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের মনে রাখা উচিত-উপজেলা পদ্ধতির প্রকৃত স্থপতি ছিলেন পল্লীবন্ধু এরশাদ।”
হিমেল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি. এম. কাদেরের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জনগণ চাইলে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হব।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. আব্দুল আওয়াল, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম হোসেন অভি, জামালগঞ্জ উপজেলা সভাপতি এএইচ ফারুক আহমদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হারুন মিয়া, দিরাই উপজেলা আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম সরদার, তাহিরপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদা, শাল্লা উপজেলা আহ্বায়ক দুলদুল চৌধুরী, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নেতা ওমর ফারুকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান সমছু বলেন, “পল্লীবন্ধু এরশাদের হাত ধরে সৃষ্ট উপজেলা পরিষদই ছিল তৃণমূলের ক্ষমতায়নের মূল ভিত্তি। এখন সংস্কার নয়, প্রয়োজন এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, সেটিই আমাদের দাবি।”