দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পৌরসভা সভাকক্ষে বিশ্ব ব্যাংক এর সহায়তায় এবং এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রিজিলিয়েন্ট আরবান এন্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, এর আওতায় ঘোড়াঘাট পৌরসভার ক্লাস্টার উন্নয়ন পরিকল্পনা, ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান এবং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট একশন প্ল্যান শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুন কাওছার শেখের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধন করেন । ওয়ার্কশপের মূল উপস্থাপনা করেন, প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ মোঃ নূরুল আমিন তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টিএলসিসি সদস্যবৃন্দ এবং নগর পরিকল্পনাকারী মো: সাইফুর রহমান, জোবায়দা পারভীন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মোঃ আল-আমিন, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মোঃ জাহিদুল ইসলাম, আর্কিটেক্ট আজমিরা আক্তার, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ সাজেদা বেগম। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পৌরসভা গুলোকে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পৌরসভার সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্প্রসারণ, গ্রামীণ ও নগর এলাকার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং জলবায়ু সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। বক্তারা আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পটি প্রথম ৬ বছরে ৮১টি পৌরসভা এবং ৬টি সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত হবে, যা বাংলাদেশের ৩৬ টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রায় ২.১ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন যা অর্ধেকই নারী। কর্মশালায় আরো জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ও ফুটপাত, সড়কবাতী উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট, বাজার ও বাস টার্মিনাল উন্নয়ন, সুপারমার্কেট, ব্রিজ ও কালর্ভাড নির্মাণ, পৌরভবন নির্মাণসহ আধুনিক নগর সেবার বিভিন্ন দিক উন্নয়ন করা হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প সামাজিক ও পরিবেশগত, জলবায়ু সহনশীল নগর পরিসেবা দিক বিবেচনা করে এবং নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। রাস্তা, ড্রেন, সড়কবাতি, বাজার, টয়লেটসহ নাগরিক সেবার উন্নয়ন ঘটবে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ঘোড়াঘাট একটি আধুনিক ও সবুজ পৌরসভা হিসেবে গড়ে উঠবে। এসময় ঘোড়াঘাট পৌরসভার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, গনমাধ্যম প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।