পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, নয়াবাজার, বংশাল, ইমামগঞ্জ, চকবাজার, সোয়ারীঘাট, শহীদনগর, ইসলামপুর, সদরঘাট, লক্ষ্নীবাজার ও বাংলাবাজার এলাকা স্বল্প দূরত্বের মধ্যেই। এক স্থান থেকে হেঁটে অন্য গন্তব্যে যেতেও সময় লাগে বড়োজোর আধা ঘণ্টা। আর রিকশা বা গাড়িতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এমনকি বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর ওপারে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকা থেকে এসব স্থানে আসতেও এর চেয়ে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু একবার যানজট শুরু হলে তিন ঘণ্টায়ও গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব হয় না। কেরানীগঞ্জের ওপারে চুনকুটিয়া চৌরাস্তা থেকে বাবুবাজার সেতু হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত যানজট। সড়কজুড়ে মালবোঝাই ঠেলাগাড়ি, কাভার্ড ভ্যান, লেগুনা, রিকশা, বাস ও ট্রাকের সারি। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও হাসপাতালগামী রোগীসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, উন্নয়নের নামে দীর্ঘ সময় রাস্তাঘাট বন্ধ রেখে খোঁড়াখুঁড়ি, রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যসামগ্রী রাখায় যানবাহন চলাচলের পথ সরু হয়ে গেছে। অবস্থা এমন যে যানজটের কারণে পুরান ঢাকার মানুষের শ্বাস নেয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।’ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাকের অবৈধ স্ট্যান্ড আর পার্কিংয়ের কারণে প্রতিদিনই যানজটে স্থবির হয়ে থাকছে পুরান ঢাকার ফুটপাত, অলিগলি ও মহাসড়ক। সড়কে সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার নানামুখী সংস্কারকাজ লেগেই আছে। এর ফলে গাড়ি চলাচলের জন্য পুরো রাস্তা ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আবার অলিগলি কেটে একাকার করে রাখায় মূল সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। অথচ এ দুটি প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে কাজ করলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা এভাবে বেহাল থাকত না। সাধারণ মানুষকেও এভাবে বছরজুড়ে যানজটে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’ রাস্তার বড়ো অংশ দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড বানানো যানজটের আরেকটি অন্যতম কারণ। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশা ও দূরপাল্লার বাস বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর দুই পাশ দখল করে স্ট্যান্ড বানিয়েছে। এসব যানবাহন রাস্তায় চলতে গিয়েও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না। সেতুর দুই পাশে দুটি করে মোট চারটি সিঁড়ির পাশেই নিয়মিত বাস ও অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। যেখানে-সেখানে গাড়ি থামানোর কারণে যখন-তখন যানজট লেগে যায়। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।