নীলফামারীর সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে চলছে আন্দোলন। এ আন্দোলন ছিল শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু দাবি। সাথে গভর্ণিং বডির বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি। প্রথমে শিক্ষকরা অত্যন্ত শান্তভাবে তাদের দাবিসমুহ কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন। তাদের দাবিসমুহ আমলে নিয়েও সময় ক্ষেপন করতে থাকেন কমিটি। এক পর্যায় অসহায় শিক্ষকরা অনেকটা বাধ্য হয়ে দাবি পুরণে নামেন আন্দোলনে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমে তারা জোটবদ্ধ হয়ে জেলা প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে বিষয়গুলো জানিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি।
এদিকে বেতন ভাতা না পেয়ে অনেকে পড়েছেন চরম বিপাকে। তাছাড়া শিক্ষকদের দাবিসমুহ ছিল ন্যায্য। আর ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে তাদের হতে হচ্ছে অপমানিত।
এদিকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি তারা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে আসছে। তাহলে শিক্ষকদের বেতন কেন বন্ধ রাখা হল। কেন শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য দ্রুত সময়ে বেতন ভাতা পরিশোধ করা না হলে বড় ধরনের আন্দোলনে যাবে তারা। তারই অংশ হিসেবে ২৭ অক্টোবর তারা বিক্ষোভ করে শহরে। এ সময় তারা লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন মেননের পদত্যাগ দাবি করে। শিক্ষার্থীরা বলছে ওই সভাপতির কারণেই কলেজটির দুরাবস্থা।
কলেজটির এ অবস্থা দেখে এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা চেষ্ঠা করেছেন কিন্তু সমাধানে পৌছতে পারেননি। বর্তমানে তারাও হাল ছেড়েছেন।
শিক্ষক কাজী আসাদুজ্জামান বলেন,প্রায় দুমাস পেরিয়ে গেল। চেক সই না হওয়ায় বেতন ভাতা বন্ধ আছে। আমরা দ্রুত সময়ে এর সমাধান চাই।