চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পচা ইলিশ পাওয়ায় একজন আড়তদার ব্যবসায়ীকে ৬০০০ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে এই অভিযান চালায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান -২০২৫ এর বাইশ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় নদ নদীসহ সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জেলেদের আহরিত ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ পুনরায় আসা শুরু হয়। হলে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠে চাঁদপুর মাছ ঘাট। চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা সহ দক্ষিণ অঞ্চল থেকে আসা তাজা ইলিশের পাশাপাশি নরম ও পচা ইলিশ সরবরাহের খবর পেয়ে এই অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এ সময় মৎস্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, বাজারে পচা মাছ বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালাই। এ সময় নোনা ইলিশ তৈরিকারী ব্যবসায়ীদের কাছে গেলে এর সত্যতা পাই। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে মেসার্স মানিক মৎস্য আড়তে এসে পচা ইলিশ মাছের স্তূপ দেখা যায়, যা খাওয়ার একেবারেই অযোগ্য। পচা মাছ বিক্রির দায়ে আড়ত পরিচালনাকারীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কিছু মাছ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন মাছ বিক্রি করবে না বলে ব্যবসায়ীরা অঙ্গীকার করেন।
জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, কিছু মাছ পরিবহনের সময় চাপের কারণে নরম হয়ে যায়। তবে এই বাজারে তাজা ইলিশই বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবারও মা ইলিশের নিষেধাজ্ঞা সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলের ফিশিং বোট জেলেরা বিপুল পরিমাণ ইলিশ নিধন করে। নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাবার পর এখন সেই মাছ চাঁদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে চাঁদপুর মাছঘাটে ১২ থেকে ১৮টি ইলিশ বোঝাই সাগরের ফিশিং বোট এসেছে।সেই মাছের কিছু অংশ পচে যায়। ঘাটের বড় বড় আড়তদার সবারই আড়তে নিষেধাজ্ঞা সময়ে ধরা বাসি পচা মাছ বিক্রি হয়েছে।