২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার চায় জামায়াতে ইসলামী

এফএনএস (এস এম ওমর আলী সানি; আগৈলঝাড়া, বরিশাল) : | প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার চায় জামায়াতে ইসলামী

২৮ অক্টোবর পল্টন হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিকে স্মরণ করে এবং খুনিদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আগৈলঝাড়া

বি এইচ পি স্কুল মাঠে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়, সমাবেশে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল, যা ঘটনার ঐতিহাসিক গুরুত্বকে তুলে ধরে। এই প্রতিবাদের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা পল্টন হত্যাকাণ্ডকে " জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ" হিসেবে বর্ণনা করে, বিচারের জোরালো দাবি করেছেন।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আলাউদ্দিন মিয়া, আমীর, জামায়াতে ইসলামী আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম খান, বরিশাল-১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা ফজলুল হক, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগৈলঝাড়া উপজেলা শাখা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মোল্লা সহ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অন্যান্য নেতৃবিন্দ।

বক্তারা বলেন ২০০৬ সালের লগার-বৈঠার তান্ডবলীলার স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জামাতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের উপর একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আলাউদ্দিন মিয়া বলেন,  পল্টন হত্যাকাণ্ড ছিল একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার না হলে দেশে ন্যায়বিচারের কোনো স্থান থাকবে না। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে। এটি শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং একটি আন্দোলনের শুরু, যা দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাবে।"

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম খান বলেন, "পল্টন হত্যাকাণ্ডের ১৯ বছর পরও খুনিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ব্যর্থতা প্রমাণ করে। এই ঘটনায় শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের স্বপ্নের ইসলামী সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আমরা কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অবিচারের প্রতিকার চাই। জামায়াতে ইসলামী এই আন্দোলনকে আরও জোরদার করবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো নিরীহ মানুষের রক্ত আর ঝরতে না হয়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে