নওগাঁর মান্দায় হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের একটি মামলাকে সাজানো ও মিথ্যা উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসি। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোপালপুর বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন শিশইল গ্রামের মসলেম উদ্দিন, ইমরান হোসেন, মুনসুরা বিবি ও আব্দুস সাত্তার।
বক্তারা বলেন, হত্যার চেষ্টা ও ছিনতাই মামলার বাদী শিশইল গ্রামের আব্দুর রউফ এলাকায় চোর হিসেবে পরিচিত। মোবাইলফোন, ছাগল চুরিসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে একই গ্রামের উজ্জল হোসেনের ক্ষেত থেকে মরিচ চুরির সময় হাতেনাতে আটক করে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে আব্দুর রউফকে ওই রাতে মান্দা মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে শিশইল গ্রামের আব্দুল হাকিম ও উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায়
মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় মারধর, হত্যার চেষ্টা, স্বর্ণের চেইন ও ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়।
বক্তা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘হত্যাচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের বিষয়টি তদন্ত না করেই পুলিশ মামলাটি রেকর্ডভূক্ত করে এবং ওই রাতেই আব্দুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা ঘটনায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানী করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চোর আব্দুর রউফের শান্তির দাবী করছি।’
পরানপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, শিশইল গ্রামের আব্দুর রউফকে মরিচ চুরির সময় হাতেনাতে আটক করে লোকজন গণপিটুনি দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার পরিষদের গ্রামআদালতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। চেয়ারম্যান আরও বলেন, আব্দুর রউফের মামলাটি তদন্ত না করেই নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানী করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু রায়হান বলেন, তদন্ত না করেই মামলা হওয়ার কথা নয়। ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এসআই সুজন খানকে। তার তদন্তের ভিত্তিতেই মামলাটি রেকর্ডভূক্ত করা হয়।