সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জের দৈনিক আমাদের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এরশাদ আলী আকন্দকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন সাত্তার মেম্বার। গত ২৭ অক্টোবর সোমবার ফেসবুক আইডিতে জনৈক আলাউদ্দিন নামে ব্যক্তির এক পোষ্টের ভিত্তিতে সাংবাদিক এরশাদ আলী একটি কমেন্ট করেন। যেখানে ভাষা ছিল ”৫ আগষ্টের পরে অনেক বিএনপি কর্মীদের দেখা যায়”। উক্ত কমেন্টকে কেন্দ্র করে সাত্তার মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক এরশাদ আলীর ফোনে গালিগালাজ সহ হত্যার হুমকি দেয়। মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া আব্দুস সাত্তার (৫০) ১নং ওয়ার্ডের শ্যামনাই গ্রামের মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে। তিনি ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য, কথিত বিএনপির নামধারী নেতা। আওয়ামী লীগের আমলে দাপটের সাথে মাটির ব্যবসা করতেন। যে কারণে এলাকায় মাটি খেকো সাত্তার নামে পরিচিত। আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে আঙ্গুল ফুলে অর্থ বৈভবের মালিক হন। সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপির নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে কথিত নেতা বনে যান। গত ২৮/১০/২৫ ইং তারিখ মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিক ভূঞাগাঁতী পশ্চিম পাড়া অষ্ট-প্রহর অনুষ্ঠান পরিদর্শনে যান বি,এন.পি মনোনয়ন প্রত্যাশী ভিপি আয়নুল হক । সেখানে সাংবাদিক এরশাদ আলী তার পত্রিকার সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করার সময় জনসম্মুখে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অসদাচরণ ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিলে, জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি বলে জানান ঐ সাংবাদিক। গত ২৯/১০/২৫ ইং তারিখ বুধবার সকালে জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সলঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক এরশাদ আলী। যার ট্র্যাকিং নাম্বার ১৫৫০। একজন সাবেক ইউপি সদস্যের গণমাধ্যম কর্মীকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি সর্বদাই সংবাদ মাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী।