গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে ভোট একসঙ্গে নেওয়া সম্ভব-হ্যাঁ, কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট নেওয়া উচিত নয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার সময় বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছিলেন যে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করা যেতে পারে। সে সময়ে জামায়াত ছাড়া সব রাজনৈতিক দলও সমর্থন জানিয়েছিল। এনসিপিও প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিলেও পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে।
রাশেদ খানের দাবি, এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে একটি বোঝাপড়া রয়েছে, যা এনসিপি গোপন রাখতে চায়। এজন্য মাঝে মাঝে তারা জামায়াতবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিনয় করে। এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। জামায়াত যা করতে পারছে না, তা এনসিপির মাধ্যমে করানো হচ্ছে। এনসিপির ভেতরে জামায়াত-শিবিরের প্রভাবশালী নিয়োগ সংগঠনের ভিতরে প্রভাব বিস্তার করছে।’
তিনি লিখেন, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পূর্ববর্তী মন্তব্য থেকে বোঝা গিয়েছিল, ‘নতুন আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দলের প্রয়োজন নেই’। রাশেদ খান অভিযোগ করেন, এনসিপি এই পথ অনুসরণ করায় তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ তৈরি হচ্ছে না। ১৪ মাসেও সরকারের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়নি। নভেম্বর গণভোটের প্রসঙ্গ ব্যবহার করে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে, যা কেবল আওয়ামী লীগকে উপকৃত করবে।
তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে সুপারিশ করেছে। এতে নয় মাস রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হলেও কার্যকারিতা শূন্য। ইতিমধ্যে ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও গভীর ষড়যন্ত্র চলমান। এটি আবারও ১/১১ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে বলেও উল্লেখ রাশেদ খান।