হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সোনাই নদী, রসুলপুর, রাবার বাগান, শাহপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন করায় ৩০/৪০জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনতলা, মাধবপুর সদর ও কালিকাপুর তহসিলের সহকারি ভুমি কর্মকর্তারা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর ২৫/২৮ জনকে আসামী করে থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক চলতি বছরে মাধবপুর উপজেলার কোন সিলিকা বালু মহাল ও ছড়া ইজারা প্রদান করেনি। তবু একটি প্রভাবশালী মহল রসুলপুর এবং পরমান্দপুর এলাকায় অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ টাকার সিলিকা বালু উত্তোলন করে প্রচার করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্তে আমার দেশসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বুধবার রাতে মাধবপুর সদর তহসিলের সহকারি ভ’মি কর্মকর্তা সোহেল রানা বাদী হয়ে উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের আঞ্জব আলীর ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া(৪৫) একই গ্রামের হায়দর আলীর ছেলে আবু ছায়েদ মিয়া(৩৮) শিংপুর এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মোঃ আব্বাস মিয়া(৪০) এবং অজ্ঞাত ৮/১০জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছে। উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সোনাই নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে সিলিকা বালু উত্তোলন করে পাচার করার অভিযোগে মনতলা ভ’মি অফিসের ভারপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলার চৌমহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলী মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া(৪৫), মঙ্গলপুর গ্রামেরমোঃ আশু মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া(৪৮), আওয়ামীলীগ নেতা মাতু মিয়ার ছেলে মোঃ শুভ মিয়া(২৫),কমলানগর গ্রামের আসাব উদ্দিনের ছেলে মাজহারুল ইসলাম (২৫) ধর্মঘর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে মোঃ শাকিল মিয়া(৩৩) কালিকাপুর গ্রামের মোঃ তিতন মিয়ার ছেলে মোঃ রনি মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এবং ছাতিয়াইন ও বাঘাসুরা এলাকায় থেকে শাহপুর, রাবার বাগানসহ বিভিন্ন ছড়া থেকে অবৈধ ভাবে সিলিকা ও সাধারন বালু ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করে পাচার করার অভিযোগে উপজেলার কালিকাপুর ভুমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারি ভ’মি কর্মকর্তা লোকমান হোসাইন লিটন বাদী হয়ে ছাতিয়াইন ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের মাহম্মদ আলীর ছেলে সাহেদ মিয়া (৩৭) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ-উল্যা জানান ৩টি লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারি কমিশনার ভ’মি মোঃ মুজিবুল ইসলাম জানান সরকারি সম্পদ রক্ষায় আমরা আর কঠোরঅভিযানে যাব। এধরনের অভিযান এবং নিয়মিত মামলা অব্যাহত থাকবে। প্রযোজনে অবৈধ ড্রেজার এবং মালামাল জব্দ করা হবে।