চাঁদপুরে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : | প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
চাঁদপুরে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘মা জুয়েলার্স’ নামক স্বর্ণালংকার দোকানে চুরির ঘটনায় মূল আসামীকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এই বিষয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করেছেন। স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় গ্রেফতার মূল আসামী কামাল পারভেজ মিলন (৪৬) ও অপর আসামী মো. খলিল মৃধাকে (৪০)। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার  মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. লুৎফুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তার আসামী পারভেজ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার ফিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে। তিনি বসবাস করেন খুলনা সদরের নিরালা আবাসিক এলাকায়।

অপর আসামী খলিলের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামে।তার পিতার নাম নেছার উদ্দিন মৃধা, থাকেন চাঁদপুর সদর উপজেলার এনায়েতনগর শেখের হাট আশ্রয় বাড়িতে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, পারভেজের দেয়া তথ্যে তার নিজ ভাড়া বাসা হতে চুরি যাওয়া ৭ ভরি ১ আনা ১ রতি স্বর্ণালংকারসহ দুটি মোবাইল ফোন এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পারভেজ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে,  চুরি করে নেয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার বিভিন্ন জায়গায় ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছে এবং ওই টাকা হতে তার সহযোগি খলিল মৃধাকে ৫ লাখ টাকা দেয়। খলিলের কাছ থেকে পুলিশ ওই ৫লাখ টাকা উদ্ধার করে। বাকি ৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, কামাল পারভেজ মিলন একজন আন্ত:জেলা চোর চক্রের মূল হোতা। সে তার সহযোগি অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বর্ণালংকার দোকানে কৌশলে চুরি করে আসছে। তা বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ৭টি মামলা এবং খলিল মৃধার বিরুদ্ধে দুটি সিআর মামলার তথ্য পাওয়াগেছে। তাদেরকে আজই চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গত ১৫ অক্টোবর দিনগত রাতে বাজারের থানা মোড় এলাকার মন্টু কর্মকারের মা জুয়েলার্সে চুরি ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাতনামা চোর চক্র তার দোকানের ক্যাশ বক্সের তালা ভেঙে নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা ও দোকানের ভিতরে থাকা সিন্দুকের তালা ভেঙে ২৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ, যার আনুমানিক মূল্য ৫০লাখ টাকা এবং ৩৫ ভরি রূপা, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ব্যবসায়ী মন্টু কর্মকার ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

তিনি থানার ওসি মো. শাহ্ আলমের তত্ত্বাবধানে একটি চৌকস দল নিয়ে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে মূল আসামী পারভেজকে ২৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেয়া তথ্য মতে থানার অপর একটি টিম সদর উপজেলার এনায়েতনগর থেকে একই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খলিলকে গ্রেপ্তার করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে