নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিজের বসতভিটায় লাগানো গাছ কাটতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী। প্রতিবেশীর হামলার শিকার হয়ে নজরুল ইসলাম নামে ওই প্রতিবন্ধী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এটি ঘটেছে ২৬ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর চাঁদখানা ইউনিয়নের ডাংগা পাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মাহমুদ মিয়া বাদী হয়ে মাজেদুল হক গোলাম মোস্তফাসহ ৫ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী মাহমুদ মিয়া জানান,আমার চাচাতো ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলাম তার বসতভিটায় একটি জিগনি গাছ লাগান। ওই গাছ বর্তমানে বেশ বড় হয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর তিনি গাছটি কাটার জন্য সেখানে গেলে তাকে বাঁধা দেন প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা ও তার ছেলে মাজেদুল হক। তারা ওই গাছটি নিজের দাবি করে গাছের প্রকৃত মালিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে তারা নজরুলকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে এদের সাথে যোগ দেয় মালেকা বেগম,ময়না বেগম, মোজাফফর হোসেনসহ আরো কয়েকজন। এক পর্যায় মাজেদুল হক ও তার বাবা গোলাম মোস্তফা মিলে নজরুলের পিঠে দুই স্থানে এবং বুকে এক স্থানে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করে। এ সময় আমি মাহমুদ মিয়া,আমার ভাই আশেক আলী,চাচা জলিল ও মোসলেম বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকেও কোদাল দিয়ে আঘাত করে। কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে এতে আমাদের শরীরের কিছু অংশ ফুলা জখম হয়। আমার চাচাতো ভাই প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলামকে ছোরা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। তার শরীরের কাপড় চোপড় সব রক্তে ভিজে গেলে তারা মৃত মনে করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুলকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করাই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানায় অবহিত করি এবং একটি এজাহার দাখিল করি। বর্তমানে আমার ভাই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে আসামীরা উল্টো আমার প্রতিবেশীসহ পরিবারের ১৪ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।