গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে গোড়া পচা রোগ। বালাইনাশক ও পচনরোধক স্প্রে করেও থামছে না এ রোগের আক্রমণ। মাঠপর্যায়ে কৃষকরা প্রতিনিয়তই লড়াই করছেন রোগ মোকাবিলায়। এ অবস্থায় ধান ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় এক রকম দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় তাদের মুখে উদ্বেগ আর হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
সরেজমিন দেখা যায়, আমনের ক্ষেতে খোলা পচা বা গোড়া পচা রোগে গাছ কুকড়ে গেছে। পাতাগুলো হলদে হয়ে ঝুলে পড়েছে। কৃষকরা জমিতে দাঁড়িয়ে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। কিন্তু রোগের বিস্তার কমছে না।
পৌরশহরের আন্দুয়া গ্রামের কৃষক আতোয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটানা বৃষ্টির পর থেকেই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে কিছু জমিতে দেখা দিলেও এখন তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্প্রে করেও কোনো রকম উন্নতি হচ্ছে না বরং রোগের প্রকোপ আরও বাড়ছে।
কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বুজরুক টেংরা গ্রামের আমিরুল ইসলাম চেংটু জানান, ৫ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। নিয়মিত পরিচর্যা করেও রোগ ঠেকাতে পারছি না। স্প্রে করতে টাকা খরচ হচ্ছে। তার কণ্ঠে স্পষ্ট হতাশা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে পলাশবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ১৩ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু জমিতে ছত্রাকজনিত গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন সোহেল জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়া নিচু জমিতে পানি জমে থাকায় ছত্রাক সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে অনেক কৃষক নিয়ম মেনে ও সঠিক পদ্ধতিতে স্প্রে না করায় সমস্যাটা আরও বেড়ে যায়। ফলে কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে গিয়ে কুষকদের সঠিকভাবে স্প্রে করার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।