ঢাকা-সিলেট রেলপথে অনুমোদিত টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস দ্রুত চালুসহ ৮ দফা দাবি আদায়ে রেলপথ অবরোধ করেছে ঢাকাস্থ বৃহত্তর সিলেটবাসী।
রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় শনিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
তথ্য অনুযায়, দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা ‘অগ্নীবীণা এক্সপ্রেস’ ট্রেন ১০ মিনিট আটকে রেখে প্রতীকী অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পরে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে তারা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।
১/ সিলেট-কক্সবাজার রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা
২/ ঢাকা-সিলেট রেলপথে অনুমোদিত টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস দ্রুত চালু করা ও সিলেট-ঢাকা রুটে দুটি
৩/ আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন করা
৪/ এই সেকশনে অন্তত দুটি লোকাল ট্রেন চালু করা
৫/ এই সেকশনের বন্ধ সব স্টেশন পুনরায় চালু করা
সিলেটের সব স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করা
৬/ সিলেট-ঢাকাগামী কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের আজমপুরের পর ঢাকামুখী সব স্টেশনে যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করা
৭/ ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার
৮/ যাত্রী অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা
কামাল আহমেদ নামে এক আন্দোলনকারী জানান, মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দাবিগুলো বিবেচনা করার। আমরা আজকের কর্মসূচি শেষ করেছি। তবে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১৮ নভেম্বর রেল মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আকবর হোসেন মঞ্জু, হবিগঞ্জ সমিতি ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, পল্টন থানা জামায়াতের শাহিন আহমেদ খান, সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহমেদ অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।