চাঁদপুর জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মানুষ ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান হবার পরও সাধারণ মানুষ বারংবার প্রতারিত হচ্ছে। দেশ স্বাধীন হবার পর মানুষ যতবার ভোট দিয়েছে ততবারই প্রতারিত হয়েছে। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। শোষণ, বঞ্চনা কমেনি। ধর্ষণ, চাঁদাবাজি,দুর্নীতি নতুনভাবে আরও বেড়ে উঠছে। শিল্প-সংস্কৃতির উপর আঘাত হানছে।
বক্তারা আরও বলেন, মানুষের সেবাখাতগুলো অবহেলিত। চাঁদপুর পৌরসভার সেবার মান উন্নত নয়। করের বোঝা বেড়েছে। পানির বিল দ্বিগুন করা হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালসহ গ্রামীণ পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত। প্রাইভেট ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোর সাথে সরকারি ডাক্তার ও কর্মচারীদের ব্যবসা রয়েছে। সরকার প্রদত্ত ঔষুধগুলোর মান ভালো না। হাসপাতালগুলোর সব রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না। যেগুলো আছে সেগুলোও অকেজো করে রাখা হয়। ফলে মানুষ ক্রমশ: আরও স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ছে। অবিলম্বে চাঁদপুর সদর হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করাসহ চাঁদপুর পৌরসভার অতিরিক্ত পৌর কর প্রত্যাহার করতে হবে।
৩১ অক্টোবর, শুক্রবার,বিকাল ৪ টা থেকে বাবুরহাট বাজার, চাঁনখান দোকান, মহামায়া বাজার ও ছোটসুন্দর বাজারে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ও শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাস্তে মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ ও বিভিন্ন পথসভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন মিয়াজী, কাস্তে মার্কার প্রার্থী কমরেড মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড সুধাংশু সাহা, জেলা কমিটির সদস্য ও জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মো: জহির উদ্দিন বাবর, কৃষক নেতা মো: ইসহাক, আশিষ কুমার সরকার, সাংবাদিক শংকর চন্দ্র দাস।
সভাগুলোর পরিচালনায় ছিলেন, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য কমরেড শ্যামল চন্দ্র ঘোষ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চাঁদপুর জেলা সংসদের আহবায়ক মুহাম্মদ কাউছার তপদার।