সৈয়দপুর প্লাজায় ফুসকা ও চটপটি পার্ক সত্যিই মনোমুগ্ধকর

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) :
| আপডেট: ১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম | প্রকাশ: ১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
সৈয়দপুর প্লাজায় ফুসকা ও চটপটি পার্ক সত্যিই মনোমুগ্ধকর

নীলফামারীর সৈয়দপুরে অত্যাধুনিক সুপার মার্কেট সৈয়দপুর প্লাজা। আর এর দক্ষিণ প্রান্তে এক মনোরম পরিবেশে গ্রাহক সাধারণের পানীয় আহারের সুবিধার্থে সুস্বাদু ফুসকা ও চটপটি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথমে একটি দোকান দিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও এখন শোভা পাচ্ছে ৫টি দোকান। সব কটি দোকানে ক্রেতার ভীর লক্ষ্যনীয়।

প্লাজা মার্কেট শুরুর কিছুদিন পর আসে ঈদ উল ফিতর। আর ওই ঈদ উল ফিতর এর দিন থেকে নতুন সংযোজন করা হয়েছিল চটপটি পার্ক। যা আজ অবধি চলমান রয়েছে। প্লাজায় বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি এ ফুসকা ও চটপটি পার্ক গড়ে ওঠায় প্লাজার দক্ষিণ প্রান্তসহ পুরো এলাকার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বর্তমানে রয়েছে জাবেদ আক্তার টিপুর টিপু ফুসকা হাউজ। আজাদ চটপটি ও ফুসকা হাউজ। শামসাদ এর মনচুরি ফুসকা হাউজ। ফাইযানে মদিনা চটপটি ও ফুসকা হাউজ এবং কুরবান আলী বিসমিল্লাহ ফুসকাওয়ালা। দোকানদাররা জানান সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে আমাদের চটপটি দোকান।

 সকল দোকান মালিক সুদক্ষ ফুসকা ও চটপটি তৈরীকারক বলে জানানো হয়। অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মধ্য দিয়ে বর্তমানে তাদের ফুসকা ও চটপটি ব্যবসা চলছে। প্রতিদিন লোকজনের ভিড়ও থাকছে। 

এক দোকানদার জানায়, ফুসকা ফুল প্লেট ২০ টাকা এবং চটপটিও ফুল প্লেট ২০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে শহরের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং প্লাজার সুনাম রক্ষার্থে আমরা হাফ প্লেট ফুসকা ও চটপটি ১০ টাকা হারেও বিক্রি করে থাকি। তিনি আরও বলেন,সারা বছর জুড়ে আমাদের এ ব্যবসা চলে। চটপটি তৈরী করতে প্রয়োজন হয় পেয়াজ,মচির কাঁচা ও শুকনা,লবণ,বিভিন্ন মসলা,টক,এ্যাংকার বুট,খিরা বা শশাসহ আরও অনেক কিছু। এখানে প্রতিদিন নারী পুরুষের ভিড় থাকে। ১ নবেম্বর ওই ফুসকা ও চটপটি দোকানে গিয়ে  দেখা যায় ওই দৃশ্য। 

চটপটি ও ফুসকা পার্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে কথা হয় প্লাজার প্রকল্প পরিচালক আলহাজ্ব গোলজার আহমেদ এর সাথে। তিনি জানান,প্লাজার সৌন্দর্য বৃদ্ধি,সুন্দর পরিবেশ এবং সত্ত্বাধিকারীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ একে একে সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, অতি স্বল্প সময়ে ফুসকা ও চটপটি পার্ক জমে উঠবে এটা আমার ধারণা ছিল না। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্লাজার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত চটপটি পার্কে এলে সত্যিই মনোরম পরিবেশ দেখে মন জুড়িয়ে যায়। খেতে ইচ্ছে করে ওই ফুসকা ও চটপটি। কিন্তু বয়সের ভারে তা পেট সহ্য করতে পারে না। তবুও মাঝে মধ্যে অল্প হলেও মুখে দেই। এখানের ফুসকা ও চটপটির স্বাদ একটু ভিন্ন। একবার খেলে তা মুখে লেগে থাকে।

ফুসকা ও চটপটি খেতে আসা গোলাহাটের লাবনী আক্তার বলেন, সন্তানদের মেধা বিকাশে বিনোদন প্রয়োজন। কিন্তু শহরে কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই।  তাই প্লাজায় ফুসকা ও চটপটি দোকানে আসি। খাওয়া হয় সাথে প্লাজা ঘুরে বাসায় যাই। এতে কিছুটা হলেও মনে আনন্দ জাগে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে