ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের হাজীডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা পারে বসতি শাকিল শিকদারের দেড় বছরের কন্যা শিশু খাদিজা আক্তার রোববার দুপুর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর আর খুজে পাওয়া যায় নাই। শিশুটি পদ্মা পারে বাড়ীর উঠানে খেলারত অবস্থায় নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর এলাকাবাসীর ধারনা পদ্মা পারে পানিতে ডুবে শিশুটি মারা গেছে। তাই ফায়ার সার্ভিস, ডুবরী দল ও স্থানীয়রা ট্রলারযোগে পদ্মা নদী তল্লাশি অভিযান চালিে ছেন। কিন্তু শিশুটির কানো সন্ধান করতে পারেনি।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, “উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও ডুবরী দল মিলে প্রথমে ২০ ঘন্টা পদ্মা নদীর পানির ভিতরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েও শিশুটির সন্ধান পায় নাই। ২০ ঘন্টা পর এখন আবার ট্রলারযোগে পদ্মা নদীর বিভিন্ন জলমহালে শিশুটির লাশ ভেসে উঠছে কি-না তা দেখা হচ্ছে”।
নিখোঁজ শিশুর মা রুমা আক্তার (৩০) জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে শিশুটির মা বাড়ীর রান্নার কাজে ব্যাস্ত ছিল। শিশুটির পিতা শাকিল শিকদার (৩৫) পদ্মা নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল। বাড়ীতে অন্য কোনো লোক ছিল না। এ সময় শিশুটি পদ্মা পারে বাড়ীর উঠানে একা একা ধুলোবালি দিয়ে খেলা করছিল। কিছুক্ষন পর শিশুটির দাদা ছলেমান শিকদার বাজার থেকে বাড়ী ফেরেন এবং নাতনিকে না দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী নিয়ে পদ্মা নদীতে খুঁজাখুজি শুরু করেন।
শিশুটির দাদা ছলেমান শিকদার জানান,“ খাদিজা নিখোঁজের পর আমরা রাতভর ট্রলার নিয়ে পদ্মা নদীর বিভিন্ন জলমহাল ঘুরে ঘুরে দেখেছি। এমনকি আজকের দিনে পদ্মা সেতু পর্যন্ত নদীর ভাটিতে বিভিন্ন জল সীমানায় খুজে দেখেছি। কিন্তু আমার নাতনির কোনো সন্ধান পাই নাই”।