নদীর এপাড় ভাঙ্গে ওপাড় গড়ে এইতো নদীর খেলা। কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলাটি হাওর অধ্যুষিত উপজেলা। সেই উপজেলা দুটোর মধ্যে নিকলী উপজেলার চারটি ইউনিয়নেই নদী বেষ্টিত ইউনিয়ন। ইউনিয়নগুলো হলো ছাতিরচর, গুরুই একাংশ, দামপাড়া ও শিংপুর। এদের মধ্যে ছাতিরচর ও শিংপুর ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদীরক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ চলে আসছে প্রায় আড়াই বছর ধরে। কিন্তু শিংপুর ইউনিয়নে নদীর ওপাড়ে তিনটি প্রকল্পের কাজ ৩০% হলেও ৭০% কাজ বাকী রয়েছে। এপাড়ের একটি কোম্পানির কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রত্যেকটি কাজ ৫০০ মিটার করে কাজ হওয়ার কথা। তারপাশেই প্রায় ৬শ থেকে ৭শ মিটার শিংপুর নদীতে ভেঙ্গে গিয়ে কৃষকের কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। এদিকে বাজিতপুর উপজেলার শাহপুর ঘাটে একটি কোম্পানির কাজ প্রায় ৮০% এবং অন্য একটি কোম্পানির কাজ ৬৫% কাজ হয়েছে। তারই পাশে কামেরবাউলী নদীতে গ্রামগুলো ভেঙ্গে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে হাওর অধ্যুষিত বিভিন্ন গ্রামে গ্রাম রক্ষার জন্য বালির বস্তা বর্ষাকালে ফেললেও এখন শুকনো সময়ে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ভাঙ্গছে এবং হুমাইপুর ঘাটের পাশে প্রায় ৩শ থেকে ৪শ মিটার কৃষকের জমি প্রায় ৩০ বছর ধরে কয়েক শত একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর আরজি এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন কী ?