গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩ দিন থেকে ঘনকুয়াশায় চাদরে ঢাঁকা পড়েছে গোটা উপজেলা। এর প্রভাবে তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের বেলায়ও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের বিশাল চরাঞ্চলে বসবাসরতদের জীবনযাত্রার গতি থমকে গেছে। শীতে কাতর হাজার হাজার মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শীতবস্ত্র অভাবে কাঁথামুরি দিয়ে শীত নির্বারণের চেষ্টায় তারা ঘরে বসে থাকছেন। অনেকে খড়কুটো জ¦ালিয়ে ঠান্ডা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষজন ও দিনমজুর। ঠান্ডায় ঘর থেকে কাজের সন্ধানে বের হতে না পারায় তারা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরা শীতের তীব্রতায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি ভাবে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় শীতার্তদের মাঝে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। বেসরকারি ভাবে কিছু কিছু এলাকায় শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে চরাঞ্চলের শীতার্তরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাজির হোসেন জানান, শীতার্ত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ও কম্বলের বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ পাওয়া যাবে। বরাদ্দ যা পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে।