লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বছরের প্রথম দিনে কোন বই পায়নি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকে ১ম ও ২য় শ্রেণীর পেয়েছে তিনটি করে বই। কবে বই পৌঁছাবে সেটি নিশ্চিত নন শিক্ষা কর্মকর্তারা। উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ২৩ হাজার ৮০০টি এবং প্রাক-প্রাথমিকের ৪ হাজার ১০০টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনে ১ম ও ২য় শ্রেনির ৩টি করে বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। এসব শ্রেনির চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৭০০টি বই। বুধবার দুপুর পর্যন্ত চাহিদা অনুয়ায়ী কোন বই পায়নি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থী ১৯ হাজার ৯০০ জন। এর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ২ লাখ ৫২ হাজার ৪৫০টি। ১৩টি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ২৫০ জন, এর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭০০টি। ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৫৫০ জন। এর বিপরীতে চাহিদা ৭৬ হাজার ৮০০টি বইয়ের। এর মধ্যে মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে তিনটি বই ( বাংলা, ইংরেজী, গণিত) দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। আলেকজান্ডার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কারিগরীসহ অন্যান্য শ্রেণীর নতুন বই এখনো হাতে পাইনি। বছরের শুরুতে বই পাওয়া না গেলেও আমরা ২০১২ সালের কারিকুলামের ভিত্তিতে বই দিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। এখনো একটি বই পাননি বলে জানান আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম বলেন, তিনি বলেন, যেহেতু বই পাইনি তাই পুরানো কারিকুলাম দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রূপাঞ্জলী কর বলেন, ‘আমরা এবার চাহিদা অনুযায়ী সব বই পাইনি। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনে ১ম ও ২য় শ্রেনির ৩টি করে বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। কিছু দিনের মধ্যে বই চলে আসবে বলে তিনি জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ দিদার হোসেন বলেন, মাধ্যমিকের কোন বই বুধবার দুপুর পর্যন্ত পাইনি। মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত দেওয়া হয়েছে। এসব বই বিতরণ করা হয়েছে। অন্য কোনো ক্লাসের বই আসেনি। এবার বই আসতে বেশ ভালো সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।