রাজশাহীতে শীতের আগমনী বার্তা, কুয়াশার চাদরে মোড়ানো ছিল সকাল। মৌসুমের প্রথম কুয়াশা। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই শহর ও আশপাশের গ্রামগুলো ঢেকে যায় ঘন কুয়াশার চাদরে।
যেন একরাশ স্নিগ্ধতা নিয়ে প্রকৃতি জানিয়ে দিল- আসছে শীত।
ভোরের আলো ফুটলেও কুয়াশায় ঢাকা চারপাশে ছিল এক রহস্যময় শান্ত সৌন্দর্য। মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে, আর মানুষ ছুটেছে নিজ নিজ গন্তব্যে। শহর ও গ্রামের সকালজুড়ে ছিল কুয়াশার মোড়কে ঢেকে থাকা নিস্তব্ধ এক অনুভব।
এদিকে গ্রামের মাঠে শিশিরভেজা ঘাসে খেলে বেড়াচ্ছে শিশুরা, যেন প্রকৃতির সঙ্গে তাদের একাকার হয়ে যাওয়া। মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু, ধূসর আকাশ আর সূর্যের টিমটিমে আলো মিলেমিশে সৃষ্টি করেছে এক অপূর্ব দৃশ্যপট—যেন শীতের আগমনকে স্বাগত জানাচ্ছে প্রকৃতি নিজেই।
শহরের রেলগেট এলাকায় কাজের খোঁজে আসা শ্রমিক আবদুল জব্বার বলেন, “আজকের সকালেই প্রথমবার শীতের ছোঁয়া টের পেলাম। মনে হচ্ছে, এখন থেকে ঠান্ডা দিন দিন বাড়বে।”
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, তাপমাত্রা এখন থেকে ধীরে ধীরে কমবে, বাড়বে শীতের প্রভাব।