সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জাল দলিল বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার সকাল ১১ টায় রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের গুটু শেখের ছেলে জাল দলিল বাতিল মামলার বাদী পক্ষে মো. শফিজ উদ্দিন শেখ। (সিরাজগঞ্জ দ্বিতীয় সাবজজ আদালত, বাটোয়ারা মামলা নং-২৬৫/১৮, তারিখ ২৬-১১-১৯১৮।) তিনি বলেন, তার পিতামহ একই গ্রামের জুব্বার শেখ। জুব্বার শেখের ভাই চাঁন্দুল্লাহ শেখ নিঃসন্তান অবস্থায় এক বোন বিদ্যমানে মারা যায়। তার আগে চাঁন্দুল্লাহ শেখ তার মোট ৩.১৬ শতক জমির মধ্যে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের হাসিল রঘুনাথপুর গ্রামের আজগর আলী শেখের ছেলে বাহাদুর আলীর নিকট ৪৪ শতক ও নিজ ভাগিনা লালু শেখের নিকট ২২ শতক জমি বিক্রি করেন। চাঁন্দুল্লাহ শেখ নিঃস্তান থাকার কারণে অবশিষ্ট ২.৫০ শতক জমি ওয়ারিশন সূত্রে তার ভাই জুব্বার শেখের ওয়ারিশগন প্রাপ্য হন। কিন্ত বাহাদুর আলীর ছেলে চতুর আব্দুর রশিদ একটি জাল দলিল করে (দলিল নং ৫২৩২/১৯৫৭/ ইন্ডেক্স নং ৪৬) চাঁন্দুল্যার ২.২৯ একর জমি জবর দখল করে। বালাম বই তল্লাশি করেও ঐ দলিলের কোন হদিস পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন। এর আগে বিবাদী আব্দুর রশিদ তার ৪৪ শতক দলিলের বলে ঐ দাগের সমুদয় ৬০ শতক জমি জোরপুর্ক ভোগ দখল করতে থাকে। বাদীগণ এর প্রতিবাদ জানালে আব্দুর রশিদ তার জবর দখলকৃত অতিরিক্ত ১৬ শতক জমি বাদীদের দখলে ছেড়ে দেয়। শফিজ উদ্দিন বলেন, ধুরন্ধর বিবাদী আব্দুর রশিদ টাকার জোরে মিথ্যা ও অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করার জোর তদ্বির করছেন। এতে তারা বিচারে বঞ্চিত হতে পারেন বলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাদীগণ নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে ঐ জাল দলিল বাতিলসহ ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।