নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই ইপিজেড এ প্রায় সময় চলে শ্রমিক আন্দোলন। কারখানা মালিক পক্ষের এক ঘেঁয়েমি সিদ্ধান্তের কারণে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয় অসহায় শ্রমিকরা। এ আন্দোলনে মালিক পক্ষের তেমন ক্ষতি না হলেও শ্রমিকরা হয়ে পড়ে বড় অসহায়। কাজ করতে গিয়ে ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে তাই বলে চাকুরি থেকে ছাটাই,অকথ্য ভাষায় গালি এটা কেন হবে। এমন কথা জানান,শাহানাজ নামে এক নারী শ্রমিক। তিনি বলেন, ৯ দিন বন্ধ থাকার পর চারটি কারখানা আবার চালু করা হয়।
গত ২৫ অক্টোবর বেতন-ভাতা,ওভারটাইম বৃদ্ধির দাবি নিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ২৬ অক্টোবর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলো হলো দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইপিএফ প্রিন্টিং লিমিটেড।
সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন,নয় দিন থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। তারপর শ্রমিকরা কারখানা চালুর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় উৎপাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমাদের কারখানার রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক( ভেপজা)মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, শ্রমিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে চারটি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হয়। তিনি বলেন উত্তরা ইপিজেডের ২৭টি কারখানায় বর্তমানে কাজ করছেন প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক।