শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢ়ুকে ইমামসহ মুসল্লিদের মারধর, হামলা ও মসজিদের আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার পর দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও তার সহোদর ভাই ফরহাদ হোসেন (২৭)।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার উপজেলার ১নং পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিম পাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটানো হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় ফরহাদ হোসেন, উমর ফারুক ও রুবেল নামের তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আযান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আযান হবে না।’
এই ঘটনায় ইমাম প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে ইমাম পালিয়ে গেলে তারা মসজিদের ভেতরে ঢ়ুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্যান্য সামগ্রী ভাংচুর করে। এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। গ্রামবাসি আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। পরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, “মসজিদে ঢ়ুকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”