ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪০৩ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জুলাই আন্দোলনের ঘটনাবলির তদন্ত কমিটির সদস্য-সচিব সাইফুদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা সহিংস ঘটনায় প্রথম পর্যায়ে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে গত ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ঘটনাটির অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির দ্বিতীয় সভায় আরও শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। ফলে মোট অভিযুক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০৩ জন।
নোটিশে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে হবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ, সাক্ষ্য এবং ছাত্র-শিক্ষকসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এই তালিকা চূড়ান্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংসতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছিল। প্রশাসন এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বে দেখছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় জানিয়েছে, ন্যায্য তদন্তের সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাদের জবাব যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।