সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের ওপর চলমান অত্যাচার ও সীমাহীন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার, সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রমিকনেতা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক কফিল উদ্দিন মোহাম্মদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, উপদেষ্টা রাগীব আহসান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারি, সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান প্রমুখ। সমাবেশে আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, সারাদেশের ৬৩ জেলা শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক সিলেট প্রশাসন এই যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। যেখানে সরকার সারাদেশে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স ও চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সেসময় সিলেটে স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বার্থান্বেষী মহল এই ধরনের যানবাহনের ওপর দমন-পীড়ন শুরুর মাধ্যমে সমাধান হতে যাওয়া একটি সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটি এবং আবাদি’ জিগির তুলে এসএমপি কমিশনার মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন। তার এই বক্তব্য আঞ্চলিকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিদ্বেষপ্রসূত ও ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য বাংলাদেশের অখণ্ডতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও দেশের নাগরিকের আন্দোলন করার সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করার হীন প্রচেষ্টা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন শ্রমিকনেতাকে গ্রেফতার করে কারান্তরীণ রাখা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দিয়ে পুলিশ গণগ্রেফতার শুরু করেছে। যা ব্যাটারিচালিত যানাবহনের সমস্যাকে সমাধানের পরিবর্তে আরও প্রকট করে তুলবে। সমাবেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের পাশাপাশি দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি করা হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে