শেরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

এফএনএস (সৌরভ অধিকারী শুভ; শেরপুর, বগুড়া) : | প্রকাশ: ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
শেরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  চিকিৎসক সংকট থাকায় আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১০ জন। ফলে, প্রতিদিন শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে এসে চাহিদা অনুযায়ী সেবা না পেয়ে পড়ছেন বিপাকে।

জানাযায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে  উপজেলার রোগী ছাড়াও আশপাশের বেশ কয়েকটি  উপজেলা থেকেও বহু রোগী আসেন। এছাড়াও, শেরপুর উপজেলা শহরের মাঝদিয়ে ২০ কিলোমিটার জুড়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক থাকায় প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা। আর তারাও এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট অবকাঠামোর উদ্বোধন করা হলেও এখনো ৩১ শয্যার সুযোগ-সুবিধাই বহাল রয়েছে বলে বিশস্ত সূত্রে জানা যায় ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তঃবিভাগে প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৪২০ জন, বহির্বিভাগে ২৬ হাজার ১৪৩ জন এবং জরুরি বিভাগে ৪ হাজার ২৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র স্টাফ নার্স আছেন ২৬ জন, মিডওয়াইফ ৪টি পদে ৪ জন, রেডিওলজিস্ট ১টি পদে ১ জন, ল্যাব টেকনোলজিস্ট ২টি পদে ২ জন, ফার্মাসিস্ট ২টি পদে ২ জন থাকলেও ডাক্তার সংকটের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে রোগীর স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা কিছু রোগীর সাথে কথা বললে তারা  জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা খুবই পরিচ্ছন্ন। আশপাশে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা রাখার পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। আছে পর্যাপ্ত লাইট ও ফ্যানের ব্যবস্থা। পুরো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা ঝকঝকে তকতকে। সুন্দর পরিবেশ থাকলেও ২৫ জন চিকিৎসকের পদ থাকা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১০ জন। এর ফলে, সাত লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার ভরসারস্থল এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন  উপজেলার নিম্ন আয়ের জনসাধারণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধারণ ক্ষমতার প্রায় আড়াই থেকে তিনগুণ রোগী ভর্তি আছেন হাসপাতালটিতে। রোগীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী লিংকন বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হলেও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা অব্যাহত রেখেছি। তাছাড়া, এই হাসপাতালে প্রতিদিন আউটডোরে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, তাই ডাক্তারসহ সব কিছুই এখানে প্রয়োজন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে