লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় প্রান্তিকের (বার্ষিক পরীক্ষা) ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই লটারির মাধ্যমে সরকারি বিদ্যালয়ে এবং লটারি ছাড়া বেসরকারি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির অকৃতকার্য শিক্ষার্থীও রয়েছে। রবিবার ও সোমবার পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশ করে উপজেলার সবকয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলাফল প্রকাশের পর জানা যায়, আলেকজান্ডার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির পায়রা শাখার শিক্ষার্থী মো. জিদান পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী লটারিতে নির্বাচিত হয়ে আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র ছাড়াই ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। আর শর্ত দিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করাচ্ছেন সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। ফলাফল বের হওয়ার আগেই নতুন শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা। জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার ও সোমবার পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতকাল সোমবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রণির ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এই শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ২২ ডিসেম্বর রবিবার থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে। এতে শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে প্রত্যয়নপত্র ছাড়াই পরবর্তী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্র্থীদের অভিভাবকরা জানান, ‘পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির লটারি হয়। এছাড়া বিদ্যালয়গুলো ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ে নতুন শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ছেলেকে প্রত্যয়ন ছাড়াই শর্ত দিয়ে ভর্তি করে দিয়েছি।’ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ জানান, ‘মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল হওয়ার আগেই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারিতে শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়। এ জন্য অভিভাবকেরা সন্তানদের ভর্তি করাতে অস্থির হয়ে পড়েন। আলেকজান্ডার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হচ্ছে। ভর্তিকৃত কোন শিক্ষার্থী যদি ৫ম শ্রেণিতে কৃতকার্য হয়ে যদি প্রত্যয়নপত্র না দিতে পারে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদরুল আলম বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছে, তাদের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া শর্তে ভর্তি করা হয়েছে।জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র বলেন, মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তির পরও কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।