রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করার সময় এক ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আগুন শরীরে আগুন নিয়ে ছুটতে থাকেন শহিদুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি। পরে তার অন্য নেতাকর্মীরা তার গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান। শহিদুল ইসলাম জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম বিএনপির সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে ওই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল।
জানতে চাইলে মনোনয়ন বঞ্চিত নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকৌঠা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি সমাবেশও হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন- পবার হুজরিপাড়া ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে হয়। তারা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তারা তাকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।
উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।