জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইটাখোলা বাজারসংলগ্ন পূর্বপাড়া এলাকায় চারটি পরিবারের দুই সপ্তাহ যাবৎ চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষ এক পরিবার। এতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো গত ১৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে । পৌর কার্যালয় ও নির্বাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে ইটাখোলা বাজার সংলগ্ন পূর্বপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওই মহল্লার মৃত শফির মন্ডলের চার ছেলে রফিকুল ইসলাম, বকুল, সাইদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের বাড়ির প্রবেশপথে ৮ ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া রয়েছে। ফলে চারটি পরিবারই এখন ঘরের জানালা কেটে বা পেছনের দিক ঘুরে আসা-যাওয়া করছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে ভুক্তভোগীর বৈমাত্র ভাইদের মধ্যে কোন ঝামেলা ছিল না। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর তাদের বসত বাড়ীর জমি বন্টন করতে গিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং ওই প্রতিপক্ষ জাহিদুল ও আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তাদের বসতবাড়ির দরজার সামনে সুউচ্চ তার কাটার বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে চারটি পরিবার প্রায় ১৫ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
ওই বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজিদ মন্ডল বলেন, এদের পরিবারে অভিভাবক হিসেবে আব্দুর রহমান ছিলেন ওই সময় তাদের কোন সমস্যা শুনিনি। তার মৃত্যুর পর এ ঝামেলা শুরু হয়। রাজ্জাকের লোকজন সংখ্যায় বেশি হওয়ায় অপর পক্ষ কিছুই করতে পারছে না। আমার জানা মতে তারা ৩২ বছর যাবৎ ওই রাস্তা ব্যবহার করছে। এখন প্রশাসনের মাধ্যম ছাড়া স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
ভুক্তভোগী সহিদুল, রফিকুল,সাইদুল ও বকুল বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে আমরা এখানে বসবাস করছি। জমির চৌহদ্দি অনুযায়ী এই পথ আমাদেরই। জোর করে তারা আমাদের বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমরা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। প্রশাসনের কাছে ন্যায্য বিচার চাই।
অভিযুক্ত জাহিদুল ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের ২৯ শতক জমির দেড় ফুট জায়গা ছেড়ে প্রাচীর দিয়েছি। ওদের পেছনের দিকে রাস্তা আছে, সেখান দিয়েই যাতায়াত করতে পারবে। আমার জায়গার এক ইঞ্চিও ছাড়ব না।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার প্রকৌশলী আফতাব হোসেন বলেন, মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করা কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টি জানার পর পৌরসভার লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। রাজ্জাককে দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এরপর পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তিনি আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।