আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গোটা জেলায় চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন শুধু ভোটের আলাপ। বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণা দিলেও অন্যান্য দলগুলো এখনো তা ঠিক করতে পারেনি। তবে কার সাথে কে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে তাও স্পষ্ঠ নয়। এ নিয়ে ছোট ছোট দল গুলো পড়েছে বিপাকে। নতুন দলগুলোর মধ্যেও বিরাজ করছে চরম সিদ্ধান্তহীনতা।
জাতীয় নাগরিক পার্টি ( এনসিপি) ঢাকায় কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ বলছেন জোট করবে আবার কেউ বলছেন একাই ৩০০শ আসনে লড়বেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নীলফামারী জেলা কমিটির আহবায়ক আব্দুল মজিদ জানান,নীলফামারী-৪, আসন সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জে দলের কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিওন চূড়ান্ত হয়েছে। নীলফামারীর বাকি আসনে এখনো কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে দ্রুত সময়ে তিনশো আসনে দল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।
নীলফামারী জেলায় রয়েছে চারটি সংসদীয় আসন।
নীলফামারী-১ (ডোমার ও ডিমলা)। এ আসনে এনসিপির ( শাপলা কলি প্রতীক) জেলা কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব রাশেদুজ্জামান রাশেদ। নীলফামারী-২, সদর আসনে এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ কামরুল ইসলাম দর্পণ । নীলফামারী-৪ ( সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) আসনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন। নীলফামারী-৩, ( জলঢাকায়) কোন প্রার্থীর নাম এখনো আসেনি।
এনসিপির একটি সুত্র জানায় নীলফামারী-২, আসনে প্রার্থী হতে পারেন আহবায়ক আব্দুল মজিদ।
নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে বিএনপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। (ধানের শীষ প্রতীক)। নীলফামারী - ২ ( সদর) আসনে বিএনপির সদস্য সচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল। নীলফামারী - ৩ আসনে ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী ও নীলফামারী- ৪ আসনে ( সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ( দাঁড়িপাল্লা প্রতীক) নীলফামারীর ৪টি আসনেই দলটি প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেছেন। নীলফামারী -১ (ডোমার ও ডিমলা) আসনে মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, নীলফামারী -২ (সদর) আসনে এ্যাড.আল ফারুক আব্দুল লতিফ, নীলফামারী -৪ (জলঢাকা) আসনে ওবায়দুল্লাহ খান সালাফী, নীলফামারী -৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরীগঞ্জ) আসনে হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুরগাছ প্রতীক) দলটিও নীলফামারীর চারটি আসেন তাদের একক প্রার্থী নাম ঘোষনা করেছে। নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নীলফামারী-২ (সদর) আসনে মুফতি আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে মাওলানা জাফর আহমদ, নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা প্রতীক) নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে মাওলানা আব্দুল আজিজ, নীলফামারী-২ (সদর) আসনে অ্যাডভোকেট হাফেজ মাওলানা এম হাছিবুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে আমজাদ হোসেন সরকার এবং নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিক্সা প্রতীক) নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে হাবিবুর রহমান, নীলফামারী-২ (সদর) আসনে মাওলানা গোলাম রব্বানী, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে শরিফুল ইসলাম, নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) মাহদী হাসান।
এবি পার্টি (ঈগল প্রতীক) নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে আলতাফ হোসাইন।
গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) (ট্রাক প্রতীক) নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে সোহাগ হোসাইন বাবু।
গণসংহতি আন্দোলন (জিএসএ) (মাথাল প্রতীক) নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে মহব্বত হোসেন মিলন ও নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে প্রদীপ রায়।