দীর্ঘ ১১ বছর হারিয়ে যাওয়া গৃহবধু শান্তনাকে আজ সোমবার (১১ই নভেম্বর) বিকেলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। হস্তান্তরের সময় বিজিবি-বিএসএফ’র কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
শান্তনা নিঁখোজ হয় আজ থেকে ১১ বছর আগে। তিনি মানসিকভাবে অসু-’। ১১ বছরই কাটে তার ভারতের কানপুরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে।
শান্তনার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাস্তিপুর গ্রামে। বিয়েও হয়েছিল ২০০০ সালে সেকন্দার আলীর সাথে।
তার স্বামী কাজ করতেন স্থানীয় একটি আদালতে। পেশায় ছিলেন মুহুরি। চারটি ছেলেও রয়েছে তার। বাবা-মা আর অন্য স্বজনেরা থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
শান্তনার খোঁজ মেলে গত ২০২৪ সালের ১৭ই জুলাই। খোঁজটি জানান পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধান। তপন প্রধানের ফোনটি আসে বাংলাদেশের সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদার কাছে।
হুদা দীর্ঘ বছর ধরে মুল পেশার পাশাপাশি ক্রসবর্ডার মিসিং পিপলদের খুঁজে বের করবার কাজটি করে আসছেন একেবারেই নিজ উদ্যোগে। আজ অবধি স্বজন থেকে বিছিন্ন হয়ে যাওয়া ৫৬জন মানুষকে খুঁজে বের করে হুদা পৌঁছে দিয়েছেন আত্মীয়দের কাছে। এদের সবাই কোনো না কোনোভাবে সীমান্ত অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়ে ছিলেন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কারাগারে।
শান্তনার খোঁজ মেলে গত ২০২৪ সালের ১৭ই জুলাই। খোঁজটি জানান পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধান। তপন প্রধানের ফোনটি আসে বাংলাদেশের সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদার কাছে।
হুদা দীর্ঘ বছর ধরে মুল পেশার পাশাপাশি ক্রসবর্ডার মিসিং পিপলদের খুঁজে বের করবার কাজটি করে আসছেন একেবারেই নিজ উদ্যোগে। আজ অবধি স্বজন থেকে বিছিন্ন হয়ে যাওয়া ৫৬জন মানুষকে খুঁজে বের করে হুদা পৌঁছে দিয়েছেন আত্মীয়দের কাছে। এদের সবাই কোনো না কোনোভাবে সীমান্ত অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়ে ছিলেন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কারাগারে।
মানসিকভাবে অসুস্থ শান্তনা খোঁজহীন হয়ে পড়েন প্রায় দশ বছর আগে।
ছোট ভাই মসিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের কয়েক বছর পর নিখোঁজ হয়ে যান মানসিকভাবে অসুস্থ শান্তনা। এক বছরের কিছু সময় পর শান্তনাকে খুঁজে পাওয়া যায় বগুড়া থেকে। এরপর বেশ কয়েক বছর স্বামী-সন্তানদের নিয়ে বেশ ভলোই কাটছিল শান্তনার। চতুর্থ সন্তান শাওন এর জন্মের বছর দেড়েক পর আবারো মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় তাকে সাভারের ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশে আত্মীয়র বাসায় পাঠিয়ে দেন স্বামী সেকেন্দার আলী। এর কিছুদিন পর সেখান থেকেই নিখোঁজ হন শান্তনা।
সেকেন্দার আলী বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন। মুহুরীর কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন। করছেন চাষাবাদ। প্রথম পরিবারের চার সন্তান এবং শান্তনার চার সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে গিয়েই প্রায় নিঃস্ব।
দীর্ঘ ১১ বছর পরে পরদেশে হারিয়ে যাওয়া শান্তনা আজ নিজ দেশে ফিরলেন। স্বজনেরা তাকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত, আবেগে আপ্লূত হয়ে পড়ে।