রাজশাহীর বাঘায় সড়ক দূর্ঘটনায় ২১ গার্মেন্স শ্রমিক আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাঘা-লালপুর সড়কের পাইকপাড়া নামকস্থানে এই ঘটনা ঘটেছে। আহতরা সবাই বাঘা পৌর এলাকার বাসিন্দা ও ঈশ্বর্দী ইপিজেডের গার্মেন্সের শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে চারজনের অবস্থা আসংকাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘা এলাকা থেকে ভটভটি নিয়ে ঈশ্বর্দী ইপিজেডে যাচ্ছিলেন। তারা বাঘা-লালপুর সড়কের পাইকপাড়া নামকস্থানে পৌঁছলে অপর দিক থেকে আসা বালু বোঝায় একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ভটভটিতে থাকা গার্মেন্স শ্রমিকরা গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেনা-বাঘা পৌরসভা কলিগ্রামের শুকচান আলীর স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩৫), উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী শরিফা বেগম (৩৫), সোহাগ রানার স্ত্রী মিনা বেগম (৩৫), চকআমোদপুর গ্রামের আবদুল গফুরের স্ত্রী যুথি বেগম (২৬), সুরুজ আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩০), কলিগ্রামের মন্টু আলীর ছেলে মাসুম আলী (২২), আশকান আলীর ছেলে আবদুল হালিম (২০), গাওপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী আখি বেগম (২৫), কলিগ্রামের মাসুম আলীর স্ত্রী জেসমিন খাতুন (১৮), বাজুবাঘা নতুনপাড়া গ্রামের তুষার আলীর স্ত্রী আশা বেগম (২৫), কলিগ্রামের রকমান আলীর স্ত্রী রজিনা বেগম (৩৭), হায়দার আলীর স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), চন্ডিপুর গ্রামের শাকিল হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৫), রুপপুর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে মিঠন আলী (৩০), চকনারায়নপুর গ্রামের রমজেদ আলীর স্ত্রী রেখা খাতুন (৩০), কলিগ্রামের তহিদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম (২৫), ইমরান আলীর স্ত্রী জেসমিন বেগম (২২), বাজুবাঘা নতুনপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের স্ত্রী রতনা নায়িকা (৩৫), কলিগ্রামের নাহারুল ইসলামের স্ত্রী ছালমা বেগম (২৮)। রামকৃজ্ঞপুর গ্রামের চান্দু মিয়া (৩০), হেলপার শিমুল হোসেন (২৫)। আহতদের মধ্যে শরিফা বেগম, শিল্পী বেগম, মিনা বেগম, জেসমিন বেগমের অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বরত ডাক্তার রেসমা খাতুন তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভটভটি চালক চান্দু মিয়া ও হেলপার শিমুল হোসেনকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে আহত গার্মেন্স শ্রমিক মিনা বেগমের স্বামী সোহাগ রানা বলেন, সকালে আামার স্ত্রীকে ভটভটিতে তুলে দিয়ে বাড়িতে আসি। কিছুক্ষণপর খবর আসে ভটভটি এক্সিডেন্ট করেছে। দূতঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়। স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বরত ডাক্তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমার স্ত্রী ঈশ্বর্দীর ইপিজেডের এ্যাবা গার্মেন্সে দুই বছর থেকে শ্রমিকের কাজ করে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে ভটভটিতে যাতাযাত করে। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আফম আসাদুজ্জামান ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থলে গিলেছিলেন বলে জানান।