লিওনেল মেসিকে কি ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখা যাবে? আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন এখন যেন এটিই। আরেকটা বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে অনেকবারই নিজের মন্তব্য করেছেন মেসি। তবে কোথাও ঠিক স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বিশ্বকাপে খেলতে আগ্রহী, আবার একই সঙ্গে সাবধানীও এলএমটেন। মেসি বলছেন, “আমি দলের ওপর বোঝা হতে চাই না। যদি মনে হয়, যেভাবে খেলতে চাই, সেভাবে খেলতে পারব, তবেই খেলব।” ১৯২ ম্যাচ। ১১২টি গোল। কোপা, আমেরিকা ট্রফি, বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল এবং বিশ্বকাপের সেই সোনালি ট্রফি, কী নেই তার ঝুলিতে! আর সেটাই যেন তার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। মেসি বলছেন, “এটা আমার জন্য বিশেষ বিশ্বকাপ। দেশের হয়ে খেলাটা সবসময় স্পেশাল। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে। তাও এটা জেতার পর।” পরক্ষণেই তার সাবধানী মন্তব্য, “কিন্তু আমি দলের জন্য বোঝা হতে চাই না। যদি মনে হয় দলকে সাহায্য করতে পারব। যেভাবে খেলতে চাই, সেভাবে খেলতে পারব, তবেই খেলব।” গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল করে দলকে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জেতান মেসি। ওই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বাবার খেলা দেখতে হাজির ছিল মেসির সন্তানরাও। মেসির পরিবারের অনেক সদস্যও হাজির ছিলেন ওই ম্যাচ দেখতে। খেলা শুরুর আগেই মেসিকে কাঁদতে দেখা যায়। ম্যাচ শেষে বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা সাফ জানিয়ে দেন, “বয়সের কথা মাথায় রাখলে যুক্তি বলে, আমি আগামী বছর বিশ্বকাপে খেলতে পারব না। তবে আমি প্রত্যেকটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই।” মেসির মুখে আবারও সেই সুর শোনা গেল। তিনি বললেন, “আমি জানি বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমি এটা খেলার জন্য উত্তেজিত। কিন্তু এখন ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। বেশিদুর ভাবতে চাই না।” মেসিকে কি বিশ্বকাপে দেখা যাবে? নাকি এবারে ওই বাঁ-পায়ের জাদু থেকে বঞ্চিতই থেকে যাবে ক্রীড়াবিশ্ব? আপাতত সবটাই নির্ভর করছে মেসির ফিটনেসের ওপর।