শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

এফএনএস (মফিজুল ইসলাম; শৈলকুপা, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে প্যাথলজিষ্ট মোঃ আরিফ আহামেদ এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঝিনাইদহ দুদকের একটি টিমএ।

শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হানা দেয় এবং নানা অনিয়ম দেখতে পাই প্যাথলজি বিভাগে সে মোতাবেক দুদক টিম প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করে। তার পরেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,শৈলকুপা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের মাসিক টাকা জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ করে আসছেন সেবা নিতে আসা রোগী ওস্থানীয় সচেতন মহল। এদিকে প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্যাথলজিষ্ট আরিফ এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের এসব অভিযোগ  উঠেছে  তার বিরুদ্ধে। সঠিক তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল বলে মনে করেন সচেতন মহল।জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই হাসপাতালে চাকুরী করার সুবাধে প্যাথলজিষ্ট আরিফ গড়ে তুলেছেন এক অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  তিনি জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সাথে। ইচ্ছামত প্যাথলজির রুমের মধ্যে টাকা আদায় আবার একই রুমের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে আর সেইসাথে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্যাথলজি বিভাগে রোগীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় কয়েক গুণ বাড়লেও সরকারের খাতায় সেপরিমান টাকা জমা হচ্ছে না। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার প্যাথলজির কাজ হয় বলে জানা যায়। এহিসাব মতে মাসে জমা হয় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা অথচ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। হাসপাতালটির প্যাথলজিস্ট বিভাগে রোগী দের বিভিন্ন  পরীক্ষার সংখ্যা ও আয় বাড়লেও এভাবে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে এই খাত থেকে। প্যাথলজি বিভাগ থেকে মাসে যে পরিমান রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হয়, তা ২০ বছর আগের হিসাবের কাছাকাছির সমান। আবার কখনো সরকারী রিএজেন্ট ফুরিয়ে গেলে ব্যক্তিগতভাবে রি এজেন্ট ক্রয় করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত এভাবে হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ টাকা হরিলুটের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হাসপাতাল স্টাফরা বলেন, হাসপাতালে রোগী বাড়ছে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে সেইসাথে প্রচুর পরিমাণ আয় বাড়ছে অথচ সরকারি হিসাবে টাকা বাড়ছে না। তাহলে অতিরিক্ত টাকার হিসাব কোথায় ? এর তদন্ত হওয়া জরুরী।  তারা আরো বলেন প্যাথলজিস্ট টি অন্যান্য খাতের আয়ের জন্য আলাদা ক্যাশ কাউন্টার  স্থাপন ও আলাদা ব্যক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হোক।এব্যাপারে প্যাথলজিষ্ট মোঃ আরিফ আহামেদকে বার বার মোবাইল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন বলেন,শৈলকুপা হাসপাতালে প্যাথলজি খাতে আগের থেকে এখন বেশী  টাকা জমা হচ্ছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে