প্রতারণার মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

এফএনএস (রুপম ভট্টাচার্য; চট্টগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
প্রতারণার মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় অনামিকা দত্ত (৩২) নামের এবি ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।অনামিকা দত্ত (৩২) সদরঘাট থানার উত্তর নালাপাড়ার সুহৃদ বরণ দত্তের মেয়ে। তিনি এবি ব্যাংকের জুবলি রোড শাখায় কর্মরত ছিলেন। গত ১০ নভেম্বর প্রতারণার অভিযোগে অনামিকা দত্ত ও তাঁর পিতা সুহৃদ বরণ দত্তসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১ থেকে ২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন দেবীকা চৌধুরী।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ তারিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা আত্মসাতের মামলায় বুধবার রাতে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক থেকে কিভাবে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দেবীকা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে পটিয়ায় বসবাস করেন এবং ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য এবি ব্যাংক স্টেশন রোড শাখায় যাতায়াত করতেন। ব্যাংক কর্মকর্তা অনামিকা দত্ত সুসম্পর্ক স্থাপন করে তাঁর আস্থা অর্জন করেন এবং বলেন, ব্যাংকটি দেউলিয়া হতে পারে। তিনি তাঁর নামীয় এফডিআর ভেঙে নেওয়ার পরামর্শ দেন। গত ৫ অক্টোবর এবি ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখায় অভিযোগকারীকে ভুল বুঝিয়ে তাঁর নামের এফডিআর হিসাব থেকে অনামিকা দত্তের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা স্থানান্তর করা হয়। একই কৌশলে গত ৭ অক্টোবর এবি ব্যাংক জুবলি রোড শাখায় একই হিসেবে আরও ১৪ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা। লেনদেনের পরই তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন, যা বুঝতে পারেন। বিষয়টি স্বামীকে জানালে স্বামীর মাধ্যমে অনামিকার কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। ব্যাংক কর্মকর্তা অনামিকা দত্ত ও তাঁর পিতা সুহৃদ বরণ দত্তসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১-২ জনের সহযোগিতায় তাঁর ব্যাংক হিসাব থেকে মোট ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনাল কর্মকর্তা মো.দিদারুল আলম বলেন, অনামিকা দত্ত আমাদের স্থায়ী কর্মকর্তা নন। টাকা লেনদেনের বিষয়টি তাঁর আত্মীয়ের সঙ্গে ঘটেছে। মামলার বাদী দেবীকা চৌধুরী বলেন, অনামিকা দত্ত আমার আত্মীয় নন। আমি চৌধুরী, তিনি দত্ত। আমাদের চৌধুরী ও দত্তের মধ্যে আত্মীয়তা হয় না। আমার সঙ্গে অনামিকা দত্তের এবি ব্যাংক জুবলি রোড শাখায় পরিচয়। সেখানে তিনি ডেস্কে বসতেন। ব্যাংকে গেলে তিনি নানা ধরনের সহযোগিতা করতেন। কিন্তু এভাবে প্রতারণা করবেন, সেটা বুঝতে পারিনি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে